October 17, 2025, 12:40 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
চুয়াডাঙ্গায় কীটনাশক প্রয়োগ করে সাতটি ৭টি বন্যপ্রাণী হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের দীননাথপুর গ্রামে। হত্যঅ করা প্রাণীগুলোর মধ্যে রয়েছে সাতটি শিয়াল, একটি কুকুর, ১ গন্ধগোকুল ও ১টি বেজি।
রোববার রাতে বন্য প্রাণী বিভাগের খুলনা কার্যালয়ের ফরেস্ট গার্ড রাসেল মিয়া বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এই ঘটনায় জিডি করেছেন। এর আগে একই অফিসের বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্যেও নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
জিডিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে ঐ গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন তার ভুট্টাখেত বন্যপ্রাণীর কারনে নষ্ট হতে পারে আশঙ্কায় সেখানে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে রাখে। এ খাবার খেয়ে একে একে একটি গৃহপালিত একটি কুকুর, সাতটি শিয়াল, একটি গন্ধগোকুল ও একটি বেজি মারা যায়। প্রাণীগুলো ঐ কৃষকের জমি ছাড়াও আশেপাশের জমিগুলোতে মওে পড়েছিল। শনিবার ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
জেলার পরিবেশকর্মী বখতিয়ার হামিদ বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগের কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলামকে জানালে তিনি খুলনা বিভাগীয় বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা কার্যালয়কে জানান।
খবর পেয়ে বন বিভাগ খুলনা কার্যালয়ের বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্যসহ একটি প্রতিনিধিদল গত রোববার চুয়াডাঙ্গা আসেন এবং ঘটনাস্থলে যান। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর রাত সাড়ে নয়টায় একই কার্যালয়ের ফরেস্ট গার্ড রাসেল মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় একটি জিডি করেন।
যোগায্গো করা হলে, বন কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য বলেন, এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে প্রাণীগুলোকে বিষ প্রয়োগে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেন, এটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
অভিযুক্ত ফারুক হোসেন আত্মগোপনে চলে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য উপপরিদর্শক (এসআই) নিবাস কুন্ডুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।